নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইছামতি নদীতে বন্যার পানিতে তলিয়ে মোহাম্মদ রনি (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) মধ্যরাতে স্থানীয়রা ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এর আগে দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ফুলবাগিচা বিলে বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় ওই যুবক।
নিহত রনি দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের গাবতল এলাকার বাসিন্দা আবু বক্করের ছেলে। তিনি পেশায় সিএনজি অটো রিকশা চালক।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘বুধবার রাত থেকে পাহাড়ি ঢলে ইছাতি নদীর তীর উপচে পানি প্রবেশ করে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্যার পানি দেখতে যায়। এসময় তিন-চারজন এক সঙ্গে নদী সংলগ্ন জমিতে নামলে প্রবল বেগে ধেয়ে আসা স্রোতে রনি তলিয়ে যায়। স্থানীয় মানুষ ও ফায়ার সার্ভিস দিনভর চেষ্টা চালিয়ে তার খোঁজ পায়নি। পরে গতকাল মধ্যরাতে পাশের একটি বিল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’
এর আগে ফটিকছড়িতে বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে সামি (১২) নামে এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুর ২ টায় উপজেলার দাঁতমারা ইউপির শান্তিরহাটের সাদি নগরে এই ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ সামি ৭ নম্বর ওয়ার্ড সাদিনগরের ভাড়াটিয়া হামিদের ছেলে বলে জানা যায়।
এদিকে ইছামতি নদীতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে রাঙ্গুনিয়ার বিস্তির্ণ এলাকা। ভেসে গেছে দেশের শষ্য ভান্ডার খ্যাত গুমাইল বিলের শত শত হেক্টর ফসলি জমি। ডুবেছে বসত বাড়ি ও মাছের ঘের।
স্থানীয় বাসিন্দা আহমেদ রেজা আরিফ বলেন, ‘ইছামতি নদীর পাহাড়ি ঢলে উত্তর রাংগুনিয়ার রাজানগর, দক্ষিণ রাজানগর, পারুয়া, হোসনাবাদসহ বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চট্রগ্রাম-রাঙামাটি আঞ্চলিক মহাসড়কের রাংঙ্গুনিয় অংশের কিছু জায়গা প্লাবিত হয়েছে। ইছামতি নদীর রাবার ড্যামের ব্রিজের অপরিকল্পিত অতিরিক্ত পিলারের কারণে বন্যার সৃষ্টি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।’