নিউজ ডেস্ক: ওমান প্রবাসীর বাড়ীতে অগ্নিসংযোগকারী রাউজান থানার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী আজীজুল হক, চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার লয়েল রোডের সামনে থেকে র্যাব-৭ এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে, পরে রাউজান থানায় হস্তান্তর করা হলে, রাউজান থানা পুলিশ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর শীর্ষসন্ত্রাসী আজিজুল হক, ৫০ থেকে ৬০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নিয়ে ওমান প্রবাসী ইয়াছিন চৌধুরী সিআইপি’র বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ ঘরের মালামাল লুট’সহ দুইটি অস্ত্র মামলায় থাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা যায়।
এছাড়াও সেই রাউজানের ডাবুয়ার দুই সহোদর স্কুল ছাত্র টিটু ও বিটুর হত্যার এজাহারভুক্ত আসামি। সেই রাউজানের ডাবুয়া ইউপির, হিংগলা গ্রামের আব্দুল মোনাফের ছেলে।
দীর্ঘদিন ওমানের পালিয়ে থাকা, রাউজানের শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিজুল হকের বিরুদ্ধে, হত্যা, অস্ত্র আইন, অপহরণ, ডাকাতি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, প্রব্সীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ’সহ বিভিন্ন অপরাধে রাউজান থানায় ১২টির অধিক মামলা রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ১১ এপ্রিল
রাউজানের হিংগলায় বৌদ্ধ আনাত আশ্রম এর পরিচালক জ্ঞান জ্যোতি ভিক্ষুককে তার স্বয়ং কক্ষে নির্মাণভাবে জবাই করে হত্যা করা আজিজুল বাহিনী। রাউজানের ডাবুয়ায় দুই সহোদর স্কুল ছাত্র টিটু ও বিটুকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
পরে জামিন নিয়ে ওমানে পালিয়ে থাকলেও আবারোও দেশে এসে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করছে এই শীর্ষসন্ত্রাসী।
ভুক্তভুগি ওমান প্রবাসী এনআরবি সিআইপি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের সভাপতি, ইয়াসিন চৌধুরী ‘সিআইপি’ মুঠোফোনে বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর আমি ওমানে থাকা অবস্থায় ৫০ থেকে ৬০ সন্ত্রাসী আমার বাড়িতে লুট পাট করে আগুন দেয়। তিনি বলেন, আমার বাড়ীতে হামলার সময় এই শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিজুল হকের কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র দেখা যায়। অস্ত্রগুলো উদ্ধারেরও দাবি জানান তিনি। তিনি বলেন অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা না গেলে তাঁর এলাকায় অপরাধ বাড়বে। তিনি এসব অস্ত্র উদ্ধারের দাবী জানান প্রশাসনের প্রতি।
তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাউজান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলমগীর।
তার গ্রেপ্তারের খবরে ওমান প্রবাসীরা তার কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্যযে, পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন রাজু, জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার, ইদ্রিস মাস্টার, এমদাদ, মোঃ মিয়া, নাসিম, মহরম, রফিক, কৃষ্ণ দত্ত, ইকবাল হোসেন গিয়াস উদ্দিন জামিল সোহেল, রিটন, ফারুক হত্যা সহ এলাকায় অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
২০০৩ সালে ১৫ জুন গহিরা ব্রিক ফিল্ড রাস্তার মাথায় একটি দোকানে বসা অবস্থায় গহীরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল হককে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে তখন মারাত্মক আহত হয়ে সিরাজুল হকের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরে তার পা দুটি কেটে ফেলা হয় এবং একপর্যায়ে মৃত্যুবরণ করেন।
২০০৪ সালের রাউজানের ডাবুয়া রাবার বাগান এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলের ছাত্র ছায়ায় আবার বের হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে লিপ্ত হোন।
বর্তমান রাউজান থানার অস্ত্র লুট করে প্রকাশ্য দিবালোকে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় ওমানে বসে দেশে চাঁদাবাজি করলেও, বর্তমান দেশে বসে প্রবাসীদের উপর চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে এই আজিজুল হক বাহিনী।