খুঁজুন
শনিবার, ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকগণের সম্মানে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ৫:২৯ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকগণের সম্মানে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল

টিভি২৪ বাংলা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ৮ মার্চ বিকাল ৫টায় রাজধানী ঢাকার গুলশানস্থ হোটেল ওয়েস্টিন-এ বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, চ্যার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্সসহ কূটনীতিকগণের সম্মানে এক ইফতার পার্টির আয়োজন করেন।

এ ইফতার পার্টিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার মিস. সারাহ কুক, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মিসেস মেরি মাসদুপি, চীনের রাষ্ট্রদূত মি. ইয়ো ওয়েন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার গিরি গোরিওভিস কোজিন, অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনার মিস. সুসান রেলি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মিকায়েল মিলার, ইরানের রাষ্ট্রদূত মি. মানসুর চাভোশি, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মি. রমিস সেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পলিটিক্যাল এ্যাফেয়ার্স জেমস এ. স্টুয়ার্ট ,পাকিস্তানের হাইকমিশনার কামরান ধাংগল, জাপানের ডেপুটি চিফ অব মিশন তাকাহাসি নাওকি ও ফার্স্ট সেক্রেটারি মিনামি তোমো, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত, মরক্কো, নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, ভারত, ভুটান, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, ডেনমার্ক, মালয়েশিয়া, ইরাক, ভ্যাটিকান সিটি, কানাডা, ব্রাজিল, আলজেরিয়া, কসোভো, জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার প্রতিনিধি, আইআরআই এবং এনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ শরীক হন।

ইফতার পার্টিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের ও মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জনাব হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, এডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, এড. এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব সাইফুল আলম খান মিলন, জনাব আবদুর রব ও অধ্যক্ষ মোঃ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এড. মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মোঃ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও অফিস সেক্রেটারি মাওলানা আফম আব্দুস সাত্তার, আমীরে জামায়াতের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান চৌধুরী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জনাব নূরুল ইসলাম সাদ্দাম প্রমুখ।

ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে ডা. শফিকুর রহমান ইফতার পার্টিতে উপস্থিত কূটনীতিকগণকে মুবারকবাদ জানিয়ে প্রদত্ত সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, “আমরা সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, যিনি আমাদের দীর্ঘ ১১ বছর পর এই ইফতার পার্টি আয়োজন করার সুযোগ করে দিয়েছেন। জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বিদেশি বন্ধুদের সম্মানে ইফতার পার্টির ঐতিহ্য ধরে রেখেছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের ইফতার পার্টি আয়োজন করতে দেয়নি। এমনকি কিছু অনুষ্ঠানের জন্য ভেন্যু বুকিং ও অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও, শেষ পর্যন্ত সরকারের বাধার কারণে আমাদের সেইসব আয়োজন বাতিল করতে হয়েছে। আজ আমরা আবারও আপনাদের এই মর্যাদাপূর্ণ ইফতার মাহফিলে স্বাগত জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আমরা জুলাই বিপ্লবের সকল শহীদ ও নির্যাতিতদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি, যাঁদের আত্মত্যাগের ফলে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত হয়েছে।

আমরা এমন এক সময়ে একত্রিত হয়েছি, যখন সমগ্র মুসলিম বিশ্ব পবিত্র রমজানের মাহাত্ম্য উপভোগ করছে। রমজান শুধুমাত্র সিয়াম সাধনার মাস নয়, এটি আত্মশুদ্ধি, আত্মসংযম ও আত্মনিবেদন করার মাস। রোজা রাখার মাধ্যমে আমরা নিঃস্ব ও অভাবগ্রস্ত মানুষের কষ্ট অনুধাবন করি যাতে আমাদের হৃদয়ে সহমর্মিতার বীজ বপন হয়। সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকা শুধু শারীরিক অনুশীলন নয়; বরং এটি আত্মার পরিশুদ্ধি, আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করা এবং ন্যায়পরায়ণতার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আমাদেরকে সাহায্য করে।

পবিত্র কুরআনুল কারিম এই মাসে নাজিল হয়েছে। মানবতার মুক্তির দিশারী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী এই কিতাব। এই মাসে আমরা ধৈর্য, কৃতজ্ঞতা ও উদারতার সর্বোচ্চ গুণ অর্জনের চেষ্টা করি। তারাবির নামাজ আদায়, কুরআন তেলাওয়াত ও দান-সদকা করার মাধ্যমে আমাদের মাঝে দায়িত্ববোধ সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে সহনশীলতা ও পারস্পরিক স¤প্রীতি বজায় থাকে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ৯০-এর দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে জামায়াত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জামায়াত অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রস্তাব দেয় এবং এর পক্ষে জনমত তৈরি করেছে। কিন্তু গত ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতকে দমন করার সব ধরনের অপচেষ্টা চালিয়েছে। জামায়াতের পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে ফাঁসি দিয়েছে। ছয়জন নেতাকে কারাগারে বা পুলিশের হেফাজতে নির্মমভাবে হত্যা করাসহ হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, অনেকে গুমের শিকার হয়েছেন এবং অনেকেই স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে গেছেন। এই নিষ্ঠুরতা সত্ত্বেও জামায়াতে ইসলামী এবং এর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির জুলাই বিপ্লবে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোর নিরাপত্তা এবং সাধারণ মানুষের জানমালের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

বাংলাদেশ যেন আর কখনো পথ হারিয়ে না ফেলে সে জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী এই সংস্কার উদ্যোগকে স্বাগত জানায় এবং ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বশীল (পিআর) নির্বাচনব্যবস্থা চালুর পক্ষে আমরা জোরালো মতামত ব্যক্ত করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, এই ব্যবস্থায় জনগণের মতামত সঠিকভাবে প্রতিফলিত হবে এবং ফ্যাসিবাদী শাসন পুনরায় ফিরে আসার পথও রুদ্ধ হবে। এ ছাড়া লক্ষ লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবিও আমরা তুলে ধরেছি। আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

আমরা মনে করি, একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক ব্যবস্থা টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। আমাদের দায়িত্ব হলো প্রত্যেক নাগরিকের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া, প্রতিটি সম্পপ্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং দেশ গঠনে সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া। জামায়াতে ইসলামী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। এদেশের প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে।

আপনাদের ইফতার পার্টিতে উপস্থিত হওয়ার জন্য আমি আপনাদের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জাানাচ্ছি। আপনাদের এই ইফতার পার্টিতে অংশগ্রহণে আমরা উৎসাহিত হয়েছি। আসুন, আমরা আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করি এবং সারা বিশ্বে
শান্তি, ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠা করি।

এই পবিত্র রমজান মাস আমাদের সবার জন্য বরকতময় হোক। আল্লাহ আপনাদের সবাইকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।”

আমীরে জামায়াতের সাথে ইইউ এর রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ২:২১ অপরাহ্ণ
   
আমীরে জামায়াতের সাথে ইইউ এর রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

টিভি২৪ বাংলা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মি. মাইকেল মিলার এক সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৈঠক শেষে নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং-এ বলেন, সম্প্রতি আমীরে জামায়াতসহ আমরা ব্রাসেলস সফর করেছি। সেখানে বেলজিয়াম সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, উন্নয়ন-অগ্রগতিসহ নানা বিষয়ে আমাদের ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র, নারী অধিকার, সংখ্যালঘু এবং আমাদের প্রধান রফতানি খাত গার্মেন্টস বিষয়ে আমাদের অবস্থান তারা জানতে চেয়েছেন। এসব বিষয়ে আমরা তাদেরকে স্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি।

ডা. তাহের আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা তাদেরকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর কথা বলেছি। প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসাতে আমরা তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। সেই সাথে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা এবং একই ব্যক্তির দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিষয়টিও আমরা তাদেরকে অবহিত করেছি। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালার বিষয়ে তাদেরকে বলেছি যে, যৌনকর্মীর লাইসেন্স প্রদান নারীর মর্যাদা ও অধিকারের প্রতি চরম আঘাত। তারা এসব বিষয়ে আমাদের সাথে একমত পোষণ করেছেন। তারা জামায়াতে ইসলামীতে শতকরা ৪৩ ভাগ নারীর অংশগ্রহণের বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার করার ব্যাপারে তারা দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন।

আমীরে জামায়াতের সাথে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ এবং আমীরে জামায়াতের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।

ফটিকছড়িতে প্রিমিয়ার লীগ ২০২৫ ফাইনাল অনুষ্ঠিত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ
   
ফটিকছড়িতে প্রিমিয়ার লীগ ২০২৫ ফাইনাল অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম ফটিকছড়িতে “ক্রিকেট পরিবারের আয়োজিত” প্রিমিয়ার লীগ ২০২৫ সিজন-৪ এর ফাইনাল খেলায় নাজিরহাট পৌরসভা দৌলতপুর আব্দুল বারী চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ক্রীড়াবীদ, সংগঠক ও দুবাই প্রবাসী মুস্তাফা কামাল।

তানভীর ও আলাউদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত খেলায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

খেলার উদ্বোধন করেন, লিম ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান লন্ডন প্রবাসী মাসুদুর রহমান।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, ফটিকছড়ি সরকারি কলেজের প্রভাষক (আইসিটি) বিভাগীয় প্রধান কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, দৌলতপুর আব্দুল বারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) খোরশেদুল আলম, রেজাউল করিম , আরিফ খান মুন্না, জাহেদুল ইসলাম অনিক, শোয়ইব তালুকদার, নাজমুল তারেক, হুসাইন চৌধুরী, কুতুব উদ্দিন, মোহাম্মদ রাশেদ, সারিদ উদ্দিন সিদ্দিকী, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, জুয়েল রানা, জামশেদুল ইসলাম তানিস, রুবেল, রাসেল, ইকবাল হোসেন, আলী আকবর জাহেদ, সাইমন আসিফ, এনামুল ইসলাম সরোয়ার, রুস্তম, সোহেল, বখতিয়ার রশিদ, ডাক্তার পলাশ, সৈয়দ আদনান, মুসাব্বির।

খেলায় ফটিকছড়ি রাইজিং স্টার’কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ফটিকছড়ি নাজিরহাট প্লেয়ার এসোসিয়েশন।

এরআগে খেলা উপভোগ করতে শতশত দর্শকে গ্যালারী ছিলে পরিপূর্ণ।

দেশ ও জাতির কল্যাণে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করুন চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের রুকন শিক্ষাশিবিরে গোলাম পরওয়ার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ১:১৫ অপরাহ্ণ
   
দেশ ও জাতির কল্যাণে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করুন চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের রুকন শিক্ষাশিবিরে গোলাম পরওয়ার

টিভি ২৪ বাংলা: দেশ ও জাতির কল্যাণে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করার অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। শুক্রবার সকাল ৮টায় চট্টগ্রামের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত দিনব্যাপী রুকন শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অহেতুক কোনো বিলম্ব না করে জাতির আশা আকাংক্ষা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম শেষ করতে যতটুকু সময়ের প্রয়োজন, সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার সম্পূর্ণ করে অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ও রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবু তাহের মুহাম্মদ মাসুম, সাবেক এমপি ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ ও মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। দারসুল কুরআন পেশ করেন বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার সাবেক প্রফেসর ড. মাওলানা সাইয়্যেদ আবু নোমান।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় শিক্ষাশিবিরে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের সাবেক প্রো-ভিসি ড. আবু বকর রফিক আহমদ, নগর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস ও মোহাম্মদ মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা মমতাজুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদের সাবেক খতিব এ বি এম ছিদ্দিকুল্লাহ, কর্মপরিষদ সদস্য ডা. ছিদ্দিকুর রহমান, আবু হেনা মোস্তাফা কামাল, অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসাইন, হামেদ হাসান ইলাহী, আবু বকর ছিদ্দিক, প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান, আমির হোছাইন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে পলাতক স্বৈরাচার। দেশ থেকে পাচার করা টাকা তারা এখন দেশের বিরুদ্ধে গুজব ছড়াতে খরচ করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই।

তিনি বলেন, সারা পৃথিবীর কাছে কুখ্যাত সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে খ্যাত ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজাবাসী নারী ও শিশুকে হত্যা করে আইয়ামে জাহেলিয়াতের বর্বর যুগের ইতিহাসকে হার মানিয়েছে। ইসরায়েল গণহত্যা পরিচালনার মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। এই সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে মুসলমানদের গুঁড়িয়ে দিতে হবে।

ইসরায়েলকে ইন্ধনদাতা-সমর্থন দেওয়া রাষ্ট্রগুলোকে উদ্দেশ্য করে সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, হামলা বন্ধ করুন। যদি তা করা না হয়, তাহলে গোটা মুসলিম উম্মাহ দুর্বার বৈশ্বিক আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। তিনি জাতিসংঘ ও ওআইসিকে বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলকে বয়কট এবং জেনোসাইডের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আবু তাহের মুহাম্মদ মাসুম বলেন, পৃথিবীতে এমন কোন নবী-রাসূল আসেননি যাদের উপর জুলুম-নির্যাতন চালানো হয়নি। সকল যুগেই হকের সাথে বাতিলের সংঘর্ষ হয়েছে। কিন্তু বাতিলের কোন ষড়যন্ত্রই ইসলামী আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে পারেনি। রাসূল (সা.) এর যুগে ইসলামী আন্দোলনের পুরো ইমারতের ভিত্তি রচিত হয়েছিল সাহাবীদের শাহাদাতের খুন-জুলুম, নির্যাতনের উপর ভিত্তি করে। নবী-রাসূল ও সাহাবায়ে কেরামের অনুকরণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পরিচালিত হচ্ছে বিধায় এ আন্দোলনও বাতিল শক্তির প্রধানতম টার্গেটে পরিণত হয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক কাজকে জামায়াতের প্রত্যেক জনশক্তির অভ্যাসে পরিণত করতে হতে। সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হলে সমাজকর্মকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক কাজের মূল ভিত্তি হলো মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং ন্যায় ও ইনসাফ নির্ভর সমাজ গঠন করা। তিনি বিভিন্ন কার্যকর পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে বলেন, স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম, শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচনের এইসব উদ্যোগ সমাজ পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, মোয়ামেলাত ইসলামী শরীয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ব্যক্তি, সমাজ এবং অর্থনৈতিক লেনদেনের নিয়ম-কানুন নির্দেশ করে। এটি সঠিক ও ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অন্যান্য আর্থিক লেনদেন পরিচালনার ওপর গুরুত্ব দেয়, যাতে করে সমাজে সাম্য, ন্যায়বিচার এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়। মোয়মেলাতের মাধ্যমে ইসলামী অর্থনীতি একটি নৈতিক ভিত্তি পায়, যা সকলের কল্যাণ সাধন করে।

সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন, জামায়াত এই দেশে অস্পষ্ট কর্মসূচি নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায় না, সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। আমরা শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে নিজেকে রক্ষা করবো। কারো কান কথায় গুরুত্ব দেবো না। ১৯৪৮ সালে জামায়াতের ১ম শপথ অনুষ্ঠানের স্প্রিট আমরা আজীবন ধরে রাখবো।