TV24@bangla ১৫ আগস্ট ২০২৫ , ৬:৫১ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
টিভি২৪ বাংলা ডেস্ক : গ্রেটার চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন ইউকের বার্ষিক পিকনিক: ক্ল্যাকটন অন সি-তে প্রাণের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লন্ডন, (১০ আগস্ট) যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসীদের সংগঠন গ্রেটার চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন ইউকে (GCA) এর বার্ষিক পিকনিক হয়ে উঠেছিল প্রাণের মিলনমেলা। রোববার সকাল ৯টার মধ্যেই লন্ডনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য সমবেত হন হোয়াইটচ্যাপলের ১১৩ নিউ রোডে চিটাগাং সেন্টারের সামনে, যেখান থেকে শুরু হয় দিনের আনন্দযাত্রা।
একাধিক বিলাসবহুল বড় কোচ ও অগণিত প্রাইভেট কার-জীপে সবার সেদিনের গন্তব্য ছিল ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত ক্লেকটন অন সি যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা শহরে তখন ছিল গ্রীষ্মের উজ্জ্বল রোদ ও সাগরের শান্ত ঢেউয়ের আহ্বান।
আয়োজনকে নিখুঁত করতে গঠিত হয়েছিল একটি শক্তিশালী পিকনিক কমিটি, যারা পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতায় আয়োজনকে রূপ দেন একটি উৎসবে।
পবিত্র কোরআন থেকে একটি তেলাওয়াতের পর সকালে শুরু থেকেই পিকনিক স্পটে পৌঁছার আগেই কোচে চলতে থাকে গান, কৌতুক, আবৃত্তি, অভিনয়, ধাঁধা ও স্মৃতিচারণ। আড়াই ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রাকালে কোচে বিশিষ্ট শিল্পী তাহসিন বাপ্পি, ডা. রুবেল, তানিম, রুবা হোসেন, নাবিল রহমান, তানভীর খান ও আরো অনেকে গান পরিবেশন করে আসা-যাওয়ার পুরো সময়টাকে ভীষণ উপভোগ্য করে তুলেন। জনপ্রিয় গান “চলো না ঘুরে আসি অজানাত দিয়ে শুরু হয় এই মনোমুগ্ধকর যাত্রা।
কোচগুলির নেতৃত্বে ছিলেন মোঃ আলী রেজা, মাসুদুর রহমান, আরশাদ মালেকও রাজ্জাকুল হায়দার বাপ্পী। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন এসোসিয়েশনের ট্রাস্টি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন ও ট্রাস্টি শওকত মাহমুদ টিপু।
সাগরের নোনাজলে অবগাহন, সৈকতে আড্ডা, খেলাধুলা, ছবি তোলা ও ফেসবুক লাইভে দিনটি হয়ে ওঠে আরো রঙিন। আলী রেজা ভাই, ফটোগ্রাফার মোমিন, শওকত ওসমান এবং কুতুবুল আলম ক্যামেরায় স্মৃতিগুলো বন্দি করে রাখেন চিরকাল।
বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় যাঁদের অবদানে অনুষ্ঠানটি স্মরণীয় হয়ে ওঠে—
ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন, মাসুদুর রহমান, আরশাদ মালেক, শওকত মাহমুদ টিপু, মিসেস মাসুদ, রাজ্জাকুল হায়দার বাপ্পি, মোহাম্মাদ ইসহাক,
মোহাম্মাদ কায়সার, ফারজানা খান, শহীদুল ইসলাম, শওকত ওসমান, কুতুবুল আলম, মীরা বড়ুয়া, মাহবুব আলম, এডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ, সাজ্জাদ, তানিম, পরান, তানভীর, রিদওয়ান, নাবিল রহমান প্রমুখ।
ফেরার পথেও গান, গল্প আর আনন্দ চলতে থাকে বিরতিহীনভাবে। কেউ ঘুমাতে চাইলেও, সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ঘুম আসার সুযোগ হয়নি।
শেষে সকলেই সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন—এটি ছিল একটি চমৎকার আয়োজন, যা অনেকদিন হৃদয়ে গেঁথে থাকবে।
**ট্রাস্টি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন** বলেন, “আজকের এই দিন আমাদের জীবনের এক অমলিন স্মৃতি হয়ে থাকবে। যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।”
উল্লেখ্য যে , ২০১৩ সালে জন্ম নেয়া জিসিএ এখন ইউরোপে তথা বিশ্বে বাংলাদেশী প্রবাসীদের অন্যতম বৃহত্তম সামাজিক সংগঠন যেটি লন্ডনে ৫টি বৃহৎ আকারের মেজবানের সাথে মিলন মেলা, চট্টগ্রাম উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চট্টগ্রামের মেজবানকে ও সংস্কৃতিকে বহির্বিশ্বে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে । এইসাথে জিসিএ পরিচালনা করেছে অনেক মানবিক কর্মকান্ড ।